Tuesday, October 8, 2019

Number to Text in Excel (কিভাবে নাম্বার কে কথায় রুপান্তর করা যায়)

আজ আমরা দেখব কিভাবে মাইক্রোসফট এক্সেলে নাম্বার কে কথায় রুপান্তর করা যায়।

প্রথমে আমরা একটি এক্সেল ওয়ার্কবুক খুলব।
তারপর Alt+F11 চেপে মাইক্রো তে যাব এবং সেখানে ইনসার্ট মেনু থেকে মডিউল এ গিয়ে নির্ধারিত সূত্রটি পেষ্ট করব।
তারপর আমরা নাম্বার কে টেক্সটে রুপান্তর করতে পারব
বিস্তারিত দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
নাম্বার কে কথায় বর্ননা করার সূত্রঃ

Function NumSpell(ByVal N As Currency) As String

   Const Thousand = 1000@
   Const Lac = 100000@
   Const Crore = 10000000@

   If (N = 0@) Then BDT = "Zero": Exit Function

   Dim Aayan As String: If (N < 0@) Then Aayan = "Negative " Else Aayan = ""
   Dim Frac As Currency: Frac = Abs(N - Fix(N))
   If (N < 0@ Or Frac <> 0@) Then N = Abs(Fix(N))
   Dim AtLeastOne As Integer: AtLeastOne = N >= 1

   If (N >= Crore) Then
      Aayan = Aayan & BDTDigitGroup(Int(N / Crore)) & " Crore"
      N = N - Int(N / Crore) * Crore
      If (N >= 1@) Then Aayan = Aayan & " "
   End If

   If (N >= Lac) Then
      Aayan = Aayan & BDTDigitGroup(Int(N / Lac)) & " Lac"
      N = N - Int(N / Lac) * Lac
      If (N >= 1@) Then Aayan = Aayan & " "
   End If

   If (N >= Thousand) Then
      Aayan = Aayan & BDTDigitGroup(N \ Thousand) & " Thousand"
      N = N Mod Thousand
      If (N >= 1@) Then Aayan = Aayan & " "
   End If

   If (N >= 1@) Then
      Aayan = "Taka " & Aayan & BDTDigitGroup(N) & ""
   End If

   If (Frac = 0@) Then
      Aayan = Aayan & ""
   Else
      If AtLeastOne Then Aayan = Aayan & " "
      Aayan = Aayan & " and " & BDTDigitGroup(Frac * 100) & " Paisa"
   End If

   NumSpell = Aayan & " Only"
End Function

Private Function BDTDigitGroup(ByVal N As Integer) As String
   Const Hundred = " Hundred"
   Const One = "One"
   Const Two = "Two"
   Const Three = "Three"
   Const Four = "Four"
   Const Five = "Five"
   Const Six = "Six"
   Const Seven = "Seven"
   Const Eight = "Eight"
   Const Nine = "Nine"
   Dim Aayan As String: Aayan = ""
   Dim Flag As Integer: Flag = False

   Select Case (N \ 100)
      Case 0: Aayan = "": Flag = False
      Case 1: Aayan = One & Hundred: Flag = True
      Case 2: Aayan = Two & Hundred: Flag = True
      Case 3: Aayan = Three & Hundred: Flag = True
      Case 4: Aayan = Four & Hundred: Flag = True
      Case 5: Aayan = Five & Hundred: Flag = True
      Case 6: Aayan = Six & Hundred: Flag = True
      Case 7: Aayan = Seven & Hundred: Flag = True
      Case 8: Aayan = Eight & Hundred: Flag = True
      Case 9: Aayan = Nine & Hundred: Flag = True
   End Select

   If (Flag <> False) Then N = N Mod 100
   If (N > 0) Then
      If (Flag <> False) Then Aayan = Aayan & " "
   Else
      BDTDigitGroup = Aayan
      Exit Function
   End If

   Select Case (N \ 10)
      Case 0, 1: Flag = False
      Case 2: Aayan = Aayan & "Twenty": Flag = True
      Case 3: Aayan = Aayan & "Thirty": Flag = True
      Case 4: Aayan = Aayan & "Forty": Flag = True
      Case 5: Aayan = Aayan & "Fifty": Flag = True
      Case 6: Aayan = Aayan & "Sixty": Flag = True
      Case 7: Aayan = Aayan & "Seventy": Flag = True
      Case 8: Aayan = Aayan & "Eighty": Flag = True
      Case 9: Aayan = Aayan & "Ninety": Flag = True
   End Select

   If (Flag <> False) Then N = N Mod 10
   If (N > 0) Then
      If (Flag <> False) Then Aayan = Aayan & " "
   Else
      BDTDigitGroup = Aayan
      Exit Function
   End If

   Select Case (N)
      Case 0:
      Case 1: Aayan = Aayan & One
      Case 2: Aayan = Aayan & Two
      Case 3: Aayan = Aayan & Three
      Case 4: Aayan = Aayan & Four
      Case 5: Aayan = Aayan & Five
      Case 6: Aayan = Aayan & Six
      Case 7: Aayan = Aayan & Seven
      Case 8: Aayan = Aayan & Eight
      Case 9: Aayan = Aayan & Nine
      Case 10: Aayan = Aayan & "Ten"
      Case 11: Aayan = Aayan & "Eleven"
      Case 12: Aayan = Aayan & "Twelve"
      Case 13: Aayan = Aayan & "Thirteen"
      Case 14: Aayan = Aayan & "Fourteen"
      Case 15: Aayan = Aayan & "Fifteen"
      Case 16: Aayan = Aayan & "Sixteen"
      Case 17: Aayan = Aayan & "Seventeen"
      Case 18: Aayan = Aayan & "Eighteen"
      Case 19: Aayan = Aayan & "Nineteen"
   End Select

   BDTDigitGroup = Aayan

End Function



ধন্যবাদ

Thursday, August 15, 2019

ডিজিটাল মার্কেটিং: কী, কেন, কীভাবে

ডিজিটাল মার্কেটিং প্রকৃতপক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অন লাইন পদ্ধতিতে দ্রব্যের বাণিজ্যিকীকরন। বানিজ্যিকীকরনের ডিজিটালাইজেশন অর্থাৎ ওয়েবসাইট বা ব্লগ ব্যবহার করে পণ্যদ্রব্যের ব্যবসা করাকে বোঝানো হচ্ছে। ব্যবসায়িক দিক থেকে দেখতে গেলে ডিজিটাল বিপণনের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য এবং ক্রেতার মধ্যবর্তী দূরত্ব হ্রাস পায়। 

একটি সদ্য শুরু হওয়া কোম্পানি একটি বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারে ডিজিটাল বিপণনের সাহায্য নিয়ে। এমনকি ডিজিটাল বিপণন প্রতিটি স্মার্ট ফোনকে শপিং ব্যাগে পরিনত করতে পারে। যেকোন ব্যবসা ডিজিটাল বিপনেনর সাহায্যে তাদের নির্দিষ্ট গ্রাহকের বাইরের গ্রাহকদেরও আকর্ষিত করতে পারে। ডিজিটাল বিপণনের সঙ্গে ব্যবসাগুলির বিনিয়োগের উপর রিটার্ন অনেকটাই বেশি পায়। প্রাথমিক বিনিয়োগ কম হওয়ার জন্য পণ্যদ্রব্যের বাজারিকরনের অনুকূল হয়ে উঠছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ফেসবুক, গুগুল , ইউটিউব, লিঙ্কড ইন, ইন্সটাগ্রাম এবং অনান্য প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রায় ৪৬২ কোটির বেশি সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ২৩০ কোটির বেশি মোবাইল সোসাল মিডিয়া ব্যবহারকারী রয়েছে। বিপণন ডিজিটাল মাধ্যমে ৬৮ শতাংশ অধিকার করে রয়েছে সেখানে মুদ্রন মাধ্যম ৯শতাংশ, রেডিও ৬ শতাংশ এবং টিভি ৫ শতাংশ দখল করে রয়েছে। সোসাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন ব্যায় ২৯ শতাংশ এবং ভিডিওতে এটি প্রায় ২০ শতাংশ হয়।
জনপ্রিয় ডিজিটাল বিপণন চ্যানেলগিুলি হল 

ইমেল – বিপণন
পে পার ক্লিক (Pay Per Click Advertising – PPC)
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (Search Engine Optimization – SEO)
ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন (Display Advertisement)
সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing -SMM)
কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
অন লাইন পাবলিক রিলেশন (Online Public Relation)

দক্ষতা অর্জনের লক্ষে ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাদারদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সমীক্ষা অনুসারে গত ৫ বছরে ডিজিটাল বিপণনের জন্য চাকরির সুযোগ ৮০০ শতাংশ বেড়েছে। এবং উদ্যোগপতিদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। 
অন্যদিকে তুলনামূলক ন্যূনতম কোর্স ফিতে পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং আনান্য পেশার তুলনায় ৬০ শতাংশ দ্রুত কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দেয়। এই শিল্প, প্রার্থীদের বছরে গড়ে ১.৮ গুন বেতন বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। এটি পরোক্ষভাবে পার্ট টাইম কর্মীদের আয়ের বিশাল সুযোগ করে দিয়েছে। উচ্চমানের এমএনসি, এসএমই এবং স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলিতেও ডিজিটাল বিপননে পেশাদার ও ফ্রিল্যান্সারদের চহিদা বাড়ছে। ভবিষ্যতে ব্যবসায়ের ১/৩ অংশ ডিজিটাল প্রোগ্রামে রূপান্তর করার পরিকল্পা রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে পেশাদার কোর্স করার পর প্রথম কর্মজীবনে ১০,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা গড়ে মাসিক বেতন হিসাবে উপার্জন করা সম্ভব। 

বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেশার চাহিদা ক্রম বর্ধমান। সেকারনে উড়ান স্কিল প্রোগ্রামের এর সহযোগিতায় উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিন কলকাতায় ৩ থেকে ১২ মাসের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যোগ্য পেশাদার সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা এবং অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়েছে।

ন্যূনতম ১০ + ২ পাশ হলে অথবা যারা চাকরি ও কর্মজীবনের সুযোগ খুজছে তারা এই কোর্স করতে পারেন। অভিজ্ঞতা এবং দক্ষত বাড়াতে এবং সুস্থ ব্যবসা পরিচালনা করতে এই পেশাদার কোর্সগুলি করা যায়। একজন সফল ডিজিটাল বিপণন কর্মী হওয়ার জন্য বিশেষ কয়েকটি অপরিহার্য দক্ষতা থাকা দরকার-

যেমন বিক্রয় দক্ষতা, যুক্তিগতভাবে চিন্তা করার দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতার সংমিশ্রন, ভালো কপিরাইটিং এবং ভিস্যুয়াল গল্প বলার ক্ষমতা এবং পছন্দসই ব্যক্তিত্ব।

ডিজিটাল বিপণন ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রাথমিক বেতন বিভিন্ন কোম্পানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন। তবে মূল বেতন এদেশের বেতন স্কেল অনুযায়ী স্থায়ী থাকে। প্রাথমিক স্তরের ডিজিটাল বিপণনকারীদের জন্য বার্ষিক গড় বেতন ৩ লাখ থেকে ৩.৫ লাখ পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্ভাবনা ও ঝুঁকি

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্ভাবনা ও ঝুঁকিঃ
পণ্য বা সেবাগুলোকে বিজ্ঞাপনসহ বাজার গবেষণার মাধ্যমে বিক্রি করার পক্রিয়াকেই মার্কেটিং বলে। আর ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অনলাইন/ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবার বিক্রয় কাজ পরিচালনা করা।
বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ব্যাপক ব্যবহার হলেও আমাদের দেশে এখনও চাহিদা কম। ডিজিটাল মার্কেটিং প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন ভোক্তা তৈরি করা এবং প্রতিযোগীদের সঙ্গে সহজেই প্রতিযোগিতা করা যায় এমনকি জেনারেল মারকেটিংয়ের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কাজ করা সম্ভব।
সম্প্রতি ডিজিটাল মার্কেটিং খাতের অবস্থান কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন এ খাতের গবেষকরা। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সম্ভাবনা ও ঝুঁকি নিয়ে লিখেছেন- সাইফুল আহমাদ
বর্তমান সময় তথ্যপ্রযুক্তির সময়। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, পড়াশোনা সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির সঙ্গে। সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। আর এ তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আমরা যে কোনো কাজ খুব সহজেই করতে পারছি।
আর সেই সঙ্গে আমরাও সময়ের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে নিতে পারছি। যেমন আগে আমাদের কোনো পণ্য ক্রয় করতে হলে বাজারে-মার্কেটে যেতে হতো। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কল্যাণে এখন আমরা ঘরে বসেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারি খুব সহজেই।
কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন : ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে। বিশেষ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে অপরিহার্য।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন :
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO মূলত গুগল, ইয়াহু বিং বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিন অনুসন্ধান ফলাফলগুলো পর্যালোচনা করে থাকে। আজকের প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এসইও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
এসইওর মাধ্যমে আপনার পণ্যকে গুগল সার্চের সবচেয়ে ওপরে নিয়ে আসবেন, তাহলে আপনার পণ্যের বিক্রিও বৃদ্ধি পাবে কারণ বর্তমানে মানুষ কোনো পণ্য কেনার আগে গুগল থেকে সার্চ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। গুগল তার তথ্যগুলো নিয়মিত আপডেট করে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং :
আমরা অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি, যেমন- Facebook, Twitter, Instagram, Google Plus। এই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমরা একজন অন্যজনের সঙ্গে বা একজন অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার্থে এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে থাকি।
এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করা বা যে পদ্ধতি অনুসরণ করে আমরা প্রচারণা করি তাকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। সোশ্যাল মিডিয়া মারকেটিং দুই প্রকার। Paid Marketing (টাকা দিয়ে পেজ অথবা গ্রুপকে প্রমোট করে)। Free Marketing (পাবলিক গ্রুপ ও পাবলিক পেজ এ পোস্ট অথবা কমেন্ট এর মাধ্যমে)।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং :
  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এমন একটি পদ্ধতি বা সিস্টেম যেখানে আমাদের নিজেদের কোনো প্রোডাক্ট নেই, আপনি সেখানে অন্য কোনো ব্যক্তি বা তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে নিজের ওয়েবসাইট বা পেজ এনে প্রমোট করবেন এবং কেউ যদি আপনার প্রমোট করা লিংক বা ব্যানার থেকে ক্লিক করে ওই প্রোডাক্টটি ক্রয় করে তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু টাকা কমিশন হিসেবে পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে রাতারাতি অনেক আয় করা সম্ভব নয়। ধৈর্যসহকারে কাজ করে যেতে পারলে সফলতা আসবে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং :
কন্টেন্ট বলতে আমরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ই-বুক ইত্যাদিকে বুঝে থাকি। আমরা যখন অনলাইনে কোনো Content নিয়ে মার্কেটিং করি তখন তাকে Content মার্কেটিং বলে।
অনলাইন এ মার্কেটিং করা কতগুলো Content : Web Page Blog Post Podcast Slide PDF, E-Book, Book Image Video ইত্যাদি। Content এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য অবশ্যই Content তৈরি করতে হবে। এমনকি Search engine optimization, Social Media marketing সব জায়গাতেই Content প্রয়োজন। Content ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং অসম্ভব।

ভাইরাল মার্কেটিং : 
 বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ, এ যুগকে ভাইরাল যুগ বলেও হাস্যরস করতে শোনা যায় প্রায়ই। আপনি যেই সেক্টরেই থাকুন না কেন, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে ভাইরাল মার্কেটিং ও কনটেন্টের গুরুত্ব অপরিসীম। এ ভাইরাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ছবি বা লেখাকে প্রোমোট করতে তেমন খাটনি করার প্রয়োজন হবে না। মানুষই ভাইরাসের মতো কনটেন্টটি ছড়িয়ে দেবে।
এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি ও প্রকাশ করার পর তার দিকে নজর রাখতে হয়, যেমন ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি প্রায় সব সোশ্যাল মিডিয়াতেই ইনসাইট বা অ্যানালিটিকস রয়েছে যা দিয়ে আপনি একটি কনটেন্ট কতটা ভালো পারফর্ম করছে বা না করলে কী সমস্যার কারণে করছে না ইত্যাদি জানতে পারেন। ক্যাপশন, পোস্ট করার সময়, প্রিভিউ ইমেজ ইত্যাদির ওপরও অনেকাংশে ভাইরালিটি নির্ভর করে।

ইমেইল মার্কেটিং : 
 ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে একটি অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের এবং সেবার প্রচার করতে পারবেন এবং আপনার সাইটের প্রচার করতে পারবেন। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছোট বড় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এ পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি করছে। ইমেইল মার্কেটিং হল ক্রেতাদের কাছে পণ্যের তথ্য পৌঁছানোর সবচেয়ে কাযকরী পদ্ধতি।
ই-মেইল মার্কেটিংয়ের জন্য অবশ্যই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বয়সের কিংবা বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের মেইল এড্রেস জোগাড় করতে হবে, যে পণ্যের মার্কেটিং করতে চান, সেটি নিয়ে ভালোভাবে গবেষণা করতে হবে, অন্য কোম্পানির একই পণ্যকে নিয়ে ও তাদের মার্কেটিং কৌশল নিয়ে গবেষণা করতে হবে। সবচেয়ে সহজভাবে আপনার পণ্যের গুণ বর্ণনা করুন আপনার মেইলে।

কোনদিকে যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং :
 বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ দুই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুগল আর ফেসবুককে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিভিন্ন স্থানে নানা অভিযোগ আর কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে। দুই জায়ান্ট ভোক্তাপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল এবং ইউনিলিভার ইতিমধ্যে অনলাইন বিজ্ঞাপন নিয়ে জালিয়াতির বড় অভিযোগ পেয়েছে। অনুপযুক্ত অনলাইন কন্টেন্টের সামনে বিজ্ঞাপন দেখানো হলে ব্র্যান্ডের সুনাম ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
এ বিষয়টি বিপণনকারীদের হতাশও করে দিয়েছে আর গ্রাহকদের লক্ষ্য করার ক্ষেত্রে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আনতে তাদের উৎসাহ জোগাচ্ছে। অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান এ বাজারে নিরাপত্তা নিয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দরকারও তৈরি হচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক মাধ্যম, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা অ্যামাজনের অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাকটিভেটেড অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তাদের লক্ষ্য করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুযোগ দিচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং বা ‘মারটেক’।
ফলে এ খাতের চাহিদাও বাড়ছে। ‘প্ল্যাটফর্ম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিপণনকারীদের জন্য ‘ওয়ান-স্টপ’ শপিং ব্যবস্থা আনছে, যা দেখার মতো আরেকটি ‘ট্রেন্ড’ হতে যাচ্ছে এমনটাই গবেষক ডেমিয়েন রায়ানের গবেষণায়উঠে এসেছে।
রায়ান বলেন, ‘মূলত, ব্র্যান্ডগুলো সংস্থাগুলোকে ডেটা দিয়ে বিশ্বাস করতে পছন্দ করে না। স্পষ্ট যে রীতি দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে ব্র্যান্ডগুলো বিপণন প্রযুক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছে।’
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর০৫ অক্টোবর ২০১৮ 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং কিঃ
ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করার মাধ্যমে পন্য ও সেবার বিজ্ঞাপন ও প্রচার করা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন মোবাইল, কাম্পউটার, ল্যাপটপের মাধ্যমে ইনটারনেট ব্যবহার করে সার্চ ইন্জিন, ওয়েবসাইট, ইমেইল, ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল এ্যাপস ইত্যাদি ব্যবহার করে পন্য বা সেবা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ক্রেতা বা ভোক্তার নিকট উপস্থাপন করা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়াও ডিজিটাল বিলবোর্ড বা টেলিভিশন পন্য ও সেবা প্রচার করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন:
সময় ও প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সহজ পদ্ধতিতে অল্প সময় ও খরছে অধিক সংখ্যক ক্রেতার নিকট পন্য বা সেবা সম্পর্কিত তথ্য পৌঁছানে যায়। ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে টার্গেটেড ক্রেতা নির্বাচন করা যায় এবং আকৃষ্ট করা যায় ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে  অনলাইন ভিওিক নতুন অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে পাশাপাশি পুরাতন প্রতিষ্ঠান সমূহে অনলাইন সেবার আওতাভূক্ত করছে। প্রতিটি সচেতন ব্যাক্তি স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার বা অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে ইনটারনেট ব্যবহার করে ফলে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করে খুব সহজেই টার্গেটেড কাস্টমারের নিকট পৌছানো যায়।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন: 
ডিজিটাল মার্কেটিং করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে সর্বাধিক কার্যকরী এবং সহজ পদ্ধতি সমূহ আলোচনা করা হয়েছে:-
  1. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  2. কন্টেন্ট মার্কেটিং
  3. ইমেইল মার্কেটিং
  4. ওয়েবসাইট
  5. সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন
  6. এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি
তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সময়ের প্রেক্ষাপটে পড়াশোনা, চাকুরি, ব্যবসা-বানিজ্য সবকিছুই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। আধুনিক বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Featured Post

Cats Eye Shining at Night | Cat